প্রশ্নের ...সম্মুখে চিত্রকলা চাঁদ একটি গীর্জা একটি সাইপ্রাস গাছ৷ ভিনসেন্ট / ভ্যাঁসঁ ভন গঘের আঁকা একটি চিত্র৷ গ্রামের এক শান্ত রাত ? তৎসত্বেও, এই ক্রু্দ্ধ আকাশের নীচে কোনোরকম বিশ্রাম সম্ভব নয়৷ ভন গঘ আত্মহত্যা করার এক বছর আগে পাগলা গারদে দিনযাপন করাকালীন এই চিত্রটি এঁকেছেন৷ তাঁর সমসাময়িকদের তুলনায় অত্যধিকমাত্রায় এগিয়ে থাকা এক প্রতিভার বিদ্রোহী, সোচ্চার আওয়াজ? যদিও তাঁর সমসাময়িকরা শহুরে চাকচিক্যের প্রতি আকৃষ্ট হন, ...ভন গঘ প্যারিস থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ও শ্রান্ত শহরবাসীদের এক স্বপ্ন আমাদের উপহার দেন : অতএব, আসুন আমরা শিল্পের উন্মাদনার মধ্যে মুক্তির আনন্দ খুঁজি! এবং গ্রাম্য জীবনের মধ্যে আনন্দের রসদ পাই! এই উন্মাদনায় পরিপূর্ণ তারকাখচিত রাত্রির চিত্র কি শুধুমাত্র অতীতে ফেরার আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করে? ভন গঘ : একটি নক্ষত্রখচিত রাত- প্রথম পর্ব : ব্যাপকভাবে চর্চিত উন্মাদনা এই চিত্রটি কি শুধুমাত্র পাগলামির স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ? এহেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার হাতছানি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখাই শ্রেয় : ভ্যান গঘ ১৮৮৯ সালে তাঁর রাতের চিত্রটি আঁকেন. এমন এক যুগে যখন জ্যোতির্বিদ্যা, কিছু জনপ্রিয় বইয়ের মাধ্যমে উৎসাহী অপেশাদারদের আকৃষ্ট করছে, যেসব বইয়ে রাতের আকাশের প্রথম আলোকচিত্র ছাপা হয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ, এই স্পাইরালটি সত্যিকারের নীহারিকাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আঁকা হয়েছে : বুধ,যে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করার পথের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছিল, সেই বছর উল্লেখযোগ্যভাবে উজ্জ্বল ছিল এবং চাঁদ যেন ভন গঘ যেমনটি তাঁর পাগলা গারদের ক্ষুদ্র কক্ষ থেকে দেখতে পেতেন ঠিক তেমনই... ....২৫ শে মে সূর্যোদয়ের আগে৷ অপরদিকে, গারদের কক্ষের জানালার তলদেশে, গঘের দৃষ্টির ক্ষেত্র একটি অবরুদ্ধ স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকে৷ তাই গঘ এক কাল্পনিক প্রাকৃতিক ভূদৃশ্য সৃষ্টি করেন যেখানে তিনি সাইপ্রাস গাছ ও গীর্জার চূড়া যুক্ত করেন, যা চিত্রটির প্রগাঢ়তা বৃদ্ধি করে৷ এমনকী প্রচন্ড স্পাইরালটিও ঠিক তার নীচে উল্লম্বভাবে অবস্থিত আাকাশ ও ভূমির মিলনস্থলকে নির্ণয় করতে সাহায্য করে, যদি তাঁর অঙ্কনশৈলী মানসিক সুস্থতার পরিচায়ক হয়, তাহলে তাঁর অশান্ত তুলির স্পর্শ কি উন্মত্ততার প্রতিফলক নয়? গঘ এত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছেন যে ক্যানভাসের কিছু অংশ তিনি খালি রেখে দিয়েছেন! বাস্তবে, তাঁর তুলির ছোঁয়া চিত্রের দুই অংশের বৈপরিত্যকে আরও প্রকট করে৷ চিত্রের নীচের অংশে, প্রতিটি বাড়ি, ঘষা কাঁচের মতো কালো রঙ দিয়ে ঘেরা, এবং গাছগুলি যেন প্রচন্ডভাবে জটপাকানো উলের মতো৷ এই চিত্রে পৃথিবীর একটি ক্ষোদিত কঠিনতা রয়েছে৷ বিপরীতদিকে, আকাশ এখানে ঘূর্ণীপাক খাওয়ানো ও তরঙ্গায়িত, ঠিক যেন এক ঝাঁক মাছ৷ তারার আলো সমকেন্দ্রিক তরঙ্গের মতো বিচ্ছুরিত হচ্ছে৷ সুতরাং ক্যানভাসে পরিলক্ষিত এই উন্মাদনা বরং স্বতঃস্ফুর্ততার চেয়েও বেশী বিচক্ষণতার সঙ্গে করা হয়েছে, যেখানে দুটি শক্তির বৈপরিত্য সুস্পষ্টরূপে প্রতিফলিত : - পৃথিবীর বাস্তব কাঠিন্য - এবং আকাশের তরঙ্গায়িত গতিশীলতা আলকাতরার মতো পুরু ও অগ্নিশিখার মতো প্রাণবন্ত সাইপ্রাস গাছটিই পৃথিবী এবং আকাশের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করে৷ ভন গঘ কেন এক শান্ত গ্রামীন রাতকে আন্দোলিত করেন? দ্বিতীয় ভাগ : রাত্রি : বিপদ না মুক্তি ? তারকাখচিত আকাশের প্রেক্ষাপটে এই রাত্রিকে আঁকার আগে,... ...ভন গঘের রাত্রির প্রতি অপর এক দৃষ্টিভঙ্গী, সারাদিনের কাজের শেষে মুক্ত মানুষের মানসিকতার সঙ্গে একাকার হয়ে যায়৷ অগ্রণী চিত্রশিল্পীদের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে কী ভীষণ পার্থক্য! যাঁরা নাগরিক চাকচিক্য ও গতিপ্রকৃতিকে মহত্ত্বে ভরিয়ে তোলেন! গঘ এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করেন : তিনি কৃষকদের নিস্প্রভ আহারের দৃশ্যের মধ্যে মহত্ত্ব খুঁজে পান,... ...অপরদিকে,চমকদার শহর তাঁর দৃষ্টিতে মূঢ়তার প্রতীক হয়৷ প্রথম নজরে নীরস ও বেদনাদায়ক মনে হলেও... ...এই আহারের দৃশ্য যেখানে একটিমাত্র বাতির সান্ত্বনাদায়ক আলোকে আহার করতে আসা মানুষেরা পরস্পরের সাথে দৃষ্টি ও... ...বাক্য বিনিময় করেন,প্রকৃতপক্ষে পরিশ্রমের / কৃচ্ছসাধনের শেষে আহারের উৎসবের প্রতিচ্ছবি৷ চিত্রে খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসের প্রতীক গীর্জার চূড়ার চারপাশে যেমন বাড়িগুলি ঐক্যবদ্ধ অবস্থায় গড়ে উঠেছে,তেমনই পরিবারটিও জোটবদ্ধ রয়েছে ৷ ভন গঘ এই কৃষিজিবীদের মর্যাদার উৎসবের শ্রষ্টা নন : এর উদ্ভাবক জঁ ফ্রঁসোয়া মিলে যাকে গঘ শ্রদ্ধা করেন৷ মিলের "অঁজেলাস" এ, বিকেল ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সঙ্গে স্বর্গের যোগাযোগ বা কথোপকথনের মুহূর্তরূপে চিহ্নিত হয়েছিল৷ অপরদিকে, ভন গঘ শহরকে প্রায় নরকের প্রতিনিধিরূপে উদ্ভাবন করেছেন৷ "আর্লসের নাচঘর" এ, একগুচ্ছ নিস্তেজ নিস্প্র্রভ আলো প্রতিস্থাপিত করেছে সেই আলোকে যা মানুষকে একত্রিত করে৷ প্রত্যেক নাচিয়ে এখানে বিশৃঙ্খল ও উন্মত্ত জনতার ভিড়ের মাঝে দিকভ্রান্ত বলে বোধ হয়৷ সারারাত খোলা এই কাফেতে. পরিবেশটি মদ্যপান করার প্রতিক্রয়াস্বরূপ হ্যাংওভারের মতো৷ লাল ও সবুজ : এই দুই সম্পুরক রঙের সহাবস্থান পরিবেশকে নিকৃষ্ট করে তোলে, একটি গুরূত্বপূর্ণ ফ্যামিলি টেবিল প্রতিস্থাপিত হয়েছে একটি বিলিয়ার্ড টেবিলের দ্বারা : তাস খেলার প্রবল আসক্তি এইসব মানুষদের শক্তি ও পারস্পরিক সম্পর্ক ধ্বংস করেছে৷ চিত্রের চারকোণে প্রত্যাখাত হয়ে,তিনটি নকল সূর্যের জ্বলন্ত চোখরাঙানির সামনে কুঁকড়ে থাকা মথের মতো, ...মাতালরা গুটিয়ে থাকে৷ তাঁর এই চিত্রগুলিতে, গঘ সম্ভবত জাপানী মুদ্রণ কৌশল ব্যবহার করে আধুনিক জীবনের কৃত্রিমতাকে পরিবেশন করতে চেয়েছেন৷ কালো বৃত্তাকার আউটলাইনগুলির ভাবোদ্দীপক ক্ষমতা, তীক্ষ্ণ বৈপরীত্যে ভরা বিভিন্ন প্রকারের সমতলের সহাবস্থান, সম্পুরক রঙের চোখধাঁধানো বৈপরীত্য, নিরর্থক ছুতা ও মিথ্যা / ভন্ড স্বচ্ছতায় মোড়া শহর, ভন গঘ শহরের তুচ্ছ চাকচিক্যর মোকাবিলা করার জন্য নক্ষত্রখচিত রাতের আকাশের শাশ্বত আদেশের চিত্র আঁকেন৷ কিন্তু এর পরিণতি অনিশ্চিত৷ যদিও আকাশটি নিরেট গাঁথুনীযুক্ত, কিন্তু নক্ষত্রগুলি ম্লান ও বিরস,... ...জলের মধ্যে রাস্তার আলোগুলির তীব্রভাবে ঝলমল করা প্রতিবিম্বের পাশাপাশি৷ ভন গঘ "আলো মাধ্যমে দূষণ" এর আবিষ্কার করেন : কৃত্রিম আলো আমাদের আকাশের তারাদের দেখতে বাধার সৃষ্টি করে এবং এই কৃত্রিম আলো শহরের সন্নিহিত অঞ্চলেও হানা দেয়, ঠিক রাস্তার এই বাতিগুলির মতো, যা শহরতলির আরেকটি অংশে "অনধিকার প্রবেশ" করার কথা ঘোষণা করে অবিকল নাসার উপগ্রহের এই ছবির মতো, যা ভন গঘের এক শতক পরের, যেখানে পৃথিবীকে তারকাখচিত আকাশের মতো দেখায়৷ দ্বিতীয় প্রয়াসের লক্ষ্যে, ভন গঘ আর্লস ছেড়ে একটি গ্রামে বাস করতে শুরু করেন... ...এবং তাঁর তুলির টানের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনেন৷ পৃথিবী এখানে আকাশের দৃঢ় ও অপরিবর্তনীয় রূপ ধারণ করে, অপরদিকে,তারকাখচিত আকাশ আধুনিকযুগের... ...কৃত্রিম আলোর তীব্রতা ও সক্রিয়তা অনুকরণ করে এর পরিনাম দৃষ্টি আকর্ষক ঠিকই কিন্তু সত্যি বলতে কি...অতিরন্জিতও বটে : এটি প্রতিভার অসংযত উন্মাদনার প্রতিচ্ছবি! কেন ভন গঘ আকাশের ক্ষমতাকে মহিমান্বিত করার জন্য এত উঠেপড়ে লেগেছিলেন? তারাদের ভুলে যাওয়া কি সত্যি খুব মারাত্মক কোনো ঘটনার ইঙ্গিত দেয় ? তৃতীয় ভাগ : রাত্রির প্রতিআক্রমণ ভন গঘ ছাড়াও, তারকাখচিত আকাশ অন্যান্য শিল্পীদের ও আমাদের আকৃষ্ট করে কারণ এটি আমাদের দুটি মুখ্য / প্রাথমিক অভিজ্ঞতার স্বাদ দেয় : সৌন্দর্যের স্বাদ ও মহত্তমের স্বাদ৷ আকাশ সম্বন্ধে প্রচলিত ধারণা হল, এটি একটি অসীম ধনুকাকৃতির ছাদ, সুন্দর কারণ এটি শৃঙ্খলা ও উৎকর্ষতার প্রতীক৷ দুর থেকে দেখলে, উজ্জ্বল ও স্বর্গীয় তারকাদের দেখলে... ...মনে হয় তারা যেন আমাদের নিস্তেজ ও ক্ষতবিক্ষত এই পৃথিবী থেকে অনেক দুরে আছে, সেই পৃথিবী যেখানে ভ্রষ্টাচার ও সবকিছুর পরিবর্তনই হল "প্রথা"! যদিও আধুনিক ফিজিক্স / পদার্থবিদ্যা এই সাদামাটা দৃষ্টিভঙ্গীকে নস্যাৎ করে, উৎকর্ষতায় পৌঁছবার আকাঙ্খা জারি থাকে৷ ভন গঘ নক্ষত্রখচিত আকাশকে মানচিত্ররূপে দেখেন এবং মৃত্যুকে মহাকাশযানরূপে কল্পনা করেন৷ "মানচিত্রে শহর ও গ্রাম নির্দশকারী কালো বিন্দুগুলি যেমন আমাকে স্বপ্নালু করে তোলে, ঠিক তেমনই রাতের আকাশের তারারাও আমাকে কল্পনার জগতে নিয়ে যায়৷" "আমার মতে কলেরা ও ক্যান্সারের মতো ব্যাধিগলির পক্ষে স্বর্গে যাওয়ার যন্ত্রের ভূমিকা পালনও মনে হয় অসম্ভব কিছু নয়, ঠিক যেমন বাস্পচালিত জাহাজ, বাস এবং রেলগাড়ি৷" গঘের রাত্রির দুই চিত্র তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীর ফল : রাত্রির প্রথম চিত্রে আকাশ এক স্বর্গীয় ও দৃঢ় গাঁথনযুক্ত চেহারা নেয়, এবং নক্ষত্ররা এখানে প্রচলিত চেহারাতেই বিদ্যমান হয়৷ রাত্রির দ্বিতীয় চিত্রে, প্রচলিত কবরস্থানের সাইপ্রাস গাছ মৃত্যর ইঙ্গিত করে যা আমাদের পৃথিবীর জাগতিক পরিমন্ডল থেকে স্বর্গীয় আলোকের রাজ্যের উদ্দশ্যে নিয়ে যায়৷ কিন্তু এই দ্বিতীয় চিত্রটি আকাশ / স্বর্গ সম্বন্ধে আরও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন ঘটায়, অসীম ও অনন্তের সাথে আকাশের সাদৃশ্য স্থাপন করে৷ সঙ্গীতের জগতে, মোজার্টের "জাদুর বাঁশি"র স্মরণে এই মন্চের সজ্জার সঙ্গে স্বর্গের ধনুকাকৃতি ছাদের সাদৃশ্য লক্ষণীয়৷ কিন্তু এই শিহরণ জাগান মাহাত্ম্য যা আমরা "রাতের রাণী " নামক গীতিনাট্যর একক কন্ঠসঙ্গীতে পাই,কোনোভাবেই শৃঙ্খলার জন্য আকুল হয়না, বরং... ...অনন্তের সামনে আমাদের সঙ্কীর্নতাকে প্রকাশ করে৷ স্থাপত্যশিল্পে, এতিএন লুই বুলে, আইজাক নিউটনের স্মৃতিতে বহু ছিদ্রযুক্ত একটি সমাধিমন্দির তৈরী করেন যার মাধ্যমে নক্ষত্রের আলোকে অনুকরণ করা যায় ও যার বিশালত্ত্বের সামনে মানুষকে পিঁপড়ের মতো ক্ষুদ্র দেখায়৷ রাত্রির দ্বিতীয় চিত্রের মাধ্যমে, ভন গঘ অনন্তেরও সন্ধান করেন৷ তিনি তাঁর আঁকা রাত্রির আকাশে এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের উদ্ভাবন করেন যা অন্যান্য শিল্পীরা তাঁদের অঙ্কনশৈলীতে গ্রহণ করেন, যেমন : ভলকানো, হিমবাহ, এবং মহাপ্লাবন৷ কিন্তু, তিনি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের গুণকীর্তন করেননি, বরং মানুষের ইচ্ছাশক্তির জয়গান করেছেন৷ আমাদের এই ইচ্ছাশক্তিই ধ্বংসাত্মক শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহস যোগায়৷ এই হল "ডায়নামিক সাবলাইম" এর বৈশিষ্ট্য ৷ অষ্টাদশ শতাব্দীতে, ঝোড়ো আকাশের তলদেশে অবস্থিত টোলেডোর গীর্জাই এক বলিষ্ঠ ও দৃঢ় বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক হয়৷ ভ্যান গঘ এই শক্তিগুলিকে স্থান পরিবর্তন করে সন্ত-রেমির বিখ্যাত গীর্জামন্দিরের উপরে স্থিত নক্ষত্রখচিত আকাশে নিয়ে যান৷ সুতরাং, পাগলামি নয়, যুক্তিই তাঁর চিন্তাধারা ও তুলিকে চালিত করে যার ফলস্বরূপ এই তারকাখচিত রাতের চিত্রটি আমরা পাই! এক তুচ্ছ প্রোভ্যান্সের গ্রাম স্থান করে নেয় পৌরাণিক গাথায় : আধুনিকতার বিরামহীন স্রোতে জর্জরিত পৃথিবীর বিপরীতে এ এক চিরস্মরণীয় "ল্যান্ডমার্ক "৷ ধন্যবাদ : বাংলা অনুবাদ : অর্পিতা দত্ত