WEBVTT 00:00:00.137 --> 00:00:03.002 আমরা মানুষরা হাজার বছর ধরে 00:00:03.002 --> 00:00:05.867 শুধু আমাদের চারপাশের পরিবেশকে লক্ষ্য করে জেনে এসেছি যে 00:00:05.867 --> 00:00:07.207 অনেক ধরণের পদার্থ এখানে আছে 00:00:07.207 --> 00:00:10.333 এসব বিভিন্ন পদার্থের, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে 00:00:10.333 --> 00:00:11.954 শুধু যে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে তাই নয় 00:00:11.954 --> 00:00:14.745 একটি পদার্থ হয়তো নির্দিষ্টভাবে আলো প্রতিফলন করে অথবা করে না 00:00:14.745 --> 00:00:17.601 বা এর কোন নির্দিষ্ট রঙ বা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা থাকতে পারে NOTE Paragraph 00:00:17.601 --> 00:00:20.457 এটি কঠিন তরল বা গ্যাস হতে পারে 00:00:20.457 --> 00:00:22.108 কিন্তু আমরা এও লক্ষ্য করি 00:00:22.108 --> 00:00:24.867 তারা কিভাবে একে অপরের সাথে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিক্রিয়া করে 00:00:24.867 --> 00:00:27.663 এখানে কিছু পদার্থের ছবি দেওয়া হলো 00:00:27.663 --> 00:00:31.477 এটি কার্বন এবং এটি কয়লা আকারে রয়েছে 00:00:31.477 --> 00:00:36.069 এটি হচ্ছে সীসা এবং এটি সোনা 00:00:36.069 --> 00:00:38.719 এখানে আমি যেসব ছবি দেখিয়েছি 00:00:38.719 --> 00:00:41.369 এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছি 00:00:41.369 --> 00:00:45.453 এ সকল পদার্থ কঠিন অবস্থায় আছে এবং 00:00:45.453 --> 00:00:47.395 এগুলো দেখলে মনে তাদের ভেতরে বাতাস রয়েছে 00:00:47.395 --> 00:00:49.338 নির্দিষ্ট ধরণের বাতাসের কণা 00:00:49.338 --> 00:00:52.210 তুমি কি ধরণের বাতাসের কণা খুঁজচ্ছো তার উপর নির্ভর করে 00:00:52.210 --> 00:00:55.079 সেটার কি ধরণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 00:00:55.079 --> 00:00:57.948 সেটা হয়তো অক্সিজেন, নাইট্রজেন বা কার্বন বা 00:00:57.948 --> 00:00:59.425 কিছু তরল পদার্থও হতে পারে 00:00:59.425 --> 00:01:02.082 তুমি যদি এদের তাপমাত্রা অধিক বাড়িয়ে দাও 00:01:02.082 --> 00:01:05.018 বা তুমি যদি সোনা বা সীসার তাপমাত্রা অধিক বাড়িয়ে দাও, 00:01:05.018 --> 00:01:06.503 তাহলে এগুলো তরলে পরিণত হবে। 00:01:06.503 --> 00:01:09.841 বা তুমি যদি কয়লা পোড়াও 00:01:09.841 --> 00:01:12.076 তাহলে এটি গ্যাসে পরিণত হবে, 00:01:12.076 --> 00:01:13.351 এই গ্যাস বায়ুমণ্ডলে নিষ্কৃতি হবে, 00:01:13.351 --> 00:01:14.702 এবং এর গঠন ভেঙে যাবে। 00:01:14.702 --> 00:01:17.271 এ সকল জিনিষ আমরা 00:01:17.271 --> 00:01:20.585 মানুষেরা হাজার বছর ধরে লক্ষ্য করে আসছি। 00:01:20.585 --> 00:01:22.452 এখানে একটি প্রশ্ন জাগে 00:01:22.452 --> 00:01:24.226 যেটি ছিল একটি দার্শনিক প্রশ্ন, 00:01:24.226 --> 00:01:26.405 কিন্তু এখন আমরা আরেকটু ভালো ভাবে এর উত্তর দিতে পারি, 00:01:26.405 --> 00:01:30.898 এবং প্রশ্নটি হচ্ছে তুমি যদি এই কার্বনটি 00:01:30.898 --> 00:01:33.518 ছোট ছোট অংশে ভাঙতে শুরু করো 00:01:33.518 --> 00:01:35.554 তাহলে কি এই পদার্থের ক্ষুদ্রতম , 00:01:35.554 --> 00:01:39.867 ক্ষুদ্রতম অংশটির 00:01:39.867 --> 00:01:43.166 কার্বনের বৈশিষ্ট্য থাকবে? 00:01:43.166 --> 00:01:45.256 এবং তুমি যদি কোনভাবে সেই ক্ষুদ্রতম অংশটি আরো ভাঙ্গো 00:01:45.256 --> 00:01:48.390 তাহলে কি সেটা কার্বনের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলবে? 00:01:48.390 --> 00:01:50.354 এর উত্তর হচ্ছে না, হারাবে না। 00:01:50.354 --> 00:01:52.200 এবং পারিভাষিক শব্দে 00:01:52.200 --> 00:01:56.156 আমরা এই বিশুদ্ধ পদার্থদের 00:01:56.156 --> 00:01:59.025 যাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 00:01:59.025 --> 00:02:01.185 এবং নির্দিষ্ট্য ভাবে বিক্রিয়া দেয়, 00:02:01.185 --> 00:02:05.291 আমরা তাদের বলি মৌল। 00:02:05.291 --> 00:02:08.729 কার্বন একটি মৌল।সীসা একটি মৌল।সোনা একটি মৌল। 00:02:08.729 --> 00:02:10.400 তুমি হয়তা বা মনে করতে পারো, পানি একটি মৌল। 00:02:10.400 --> 00:02:14.221 এক সময় মানুষ তাই ভাবতো। 00:02:14.221 --> 00:02:17.892 কিন্তু এখন আমরা জানি পানি বিভিন্ন মৌল দ্বারা তৈরি। 00:02:17.892 --> 00:02:20.405 পানি অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত। 00:02:20.405 --> 00:02:25.014 এবং এসকল মৌল, 00:02:25.014 --> 00:02:27.758 পর্যায় সরণিতে সাজানো আছে। 00:02:27.758 --> 00:02:29.374 C তে কার্বন বোঝায়। 00:02:29.374 --> 00:02:30.400 আমি শুধু সেগুলোর কথা বলছি 00:02:30.400 --> 00:02:32.379 যা আমাদের মানব জীবনের সাথে সর্ম্পকিত। 00:02:32.379 --> 00:02:35.502 কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এ সকল মৌল সর্ম্পকে ধারণা হবে। 00:02:35.502 --> 00:02:39.148 এটা অক্সিজেন, এটা নাইট্রোজেন,এটা সিলিকন। 00:02:39.148 --> 00:02:42.867 Au বলতে সোনা বোঝায়। এটা সীসা। 00:02:42.867 --> 00:02:51.995 এবং এ সকল মৌলের ক্ষুদ্রতম কণিকার নাম পরমাণু। 00:02:51.995 --> 00:02:54.559 তুমি যদি ভাঙতে ভাঙতে 00:02:54.559 --> 00:02:57.079 ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম অংশটি নিতে থাকো 00:02:57.079 --> 00:02:59.415 অবশেষে তুমি কার্বনের পরমাণু পাবে। 00:02:59.415 --> 00:03:00.755 এখানেও একই কাজ করো 00:03:00.755 --> 00:03:02.536 এবং শেষ পর্যন্ত সোনার পরমাণু পাবে। 00:03:02.536 --> 00:03:03.991 এখানে সেই একই কাজ করলে 00:03:03.991 --> 00:03:05.856 তুমি এই ক্ষুদ্র 00:03:05.856 --> 00:03:07.758 কণা পাবে, 00:03:07.758 --> 00:03:09.185 যেটি হচ্ছে সীসার পরমাণু। 00:03:09.185 --> 00:03:11.239 এবং এই পরমাণুকে আর ভাঙা যাবে না 00:03:11.239 --> 00:03:13.597 কিন্তু তবুও আমরা এই পরমাণুকে সীসা বলবো 00:03:13.597 --> 00:03:17.043 কেননা এটির মধ্যে সীসার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 00:03:17.043 --> 00:03:18.330 এবং তোমাদের একটি ধারণা দেওয়ার জন্য 00:03:18.330 --> 00:03:21.193 এটি কল্পনা করা কঠিন 00:03:21.193 --> 00:03:24.040 কিন্তু পরমাণু খুবই ছোট। 00:03:24.040 --> 00:03:25.901 আমাদের কল্পনার থেকেও অনেক ছোট। 00:03:25.901 --> 00:03:27.555 তো ধরা যাক কার্বন। 00:03:27.555 --> 00:03:29.379 আমার চুল কার্বন দিয়ে তৈরি 00:03:29.379 --> 00:03:31.882 আসলে আমার শরীরের বেশীর ভাগই কার্বন দিয়ে গঠিত 00:03:31.882 --> 00:03:35.912 বেশীর ভাগ জীবন্ত বস্তু কার্বন দিয়ে গঠিত 00:03:35.912 --> 00:03:40.533 তুমি যদি আমার চুল দেখ,আমার চুল কার্বন দিয়ে তৈরী। 00:03:40.533 --> 00:03:42.231 আমার চুলের বেশীর ভাগই কার্বন 00:03:42.231 --> 00:03:43.989 তুমি যদি আমার চুল এখানে দেখো 00:03:43.989 --> 00:03:45.565 আমার চুল হলুদ নয় 00:03:45.565 --> 00:03:46.766 কিন্তু কালোর সাথে ভালো মিশে। 00:03:46.766 --> 00:03:47.950 আমার চুল কালো 00:03:47.950 --> 00:03:49.713 কিন্তু তুমি সেটা স্ক্রিনে দেখতে পারবে না। 00:03:49.713 --> 00:03:51.970 কিন্তু তুমি যদি আমার চুল এখানে নিতে, আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করতাম 00:03:51.970 --> 00:03:55.200 আমার চুল কত কার্বন পরমাণু চওড়া? 00:03:55.200 --> 00:03:58.467 তুমি যদি আমার চুলের প্রস্থচ্ছেদ নাও,দৈর্ঘ্য নয় 00:03:58.467 --> 00:04:00.361 আমার চুলের প্রশস্ত এবং আমি যদি বলি 00:04:00.361 --> 00:04:03.255 কত কার্বন পরমাণু চওড়া এটি? 00:04:03.255 --> 00:04:07.049 তুমি হয়তো অনুমান করতে পারো, ও হ্যা সালমান তো আমাকে বলেছেই এটা খুব ছোট 00:04:07.049 --> 00:04:09.150 হয়তো হাজার খানেক কার্বন পরমাণু আছে এখানে। 00:04:09.150 --> 00:04:10.484 বা দশ হাজার বা একশো হাজার 00:04:10.484 --> 00:04:11.788 এবং আমি বলব, না! 00:04:11.788 --> 00:04:14.249 এখানে দশ লক্ষ কার্বন পরমাণু রয়েছে। 00:04:14.249 --> 00:04:17.439 বা তুমি দশ লক্ষ কার্বন পরমাণু 00:04:17.439 --> 00:04:20.933 মানুষের একটি চুলের প্রস্থে সাজাতে পারো। 00:04:20.933 --> 00:04:22.585 এবং অবশ্যই এটা আমাদের একটি পরিমাপ, 00:04:22.585 --> 00:04:24.026 এখানে ঠিক দশ লক্ষ পরমাণু না থাকলেও 00:04:24.026 --> 00:04:26.605 তুমি একটি ধারণা পাচ্ছো একটি পরমাণু কত ছোট। 00:04:26.605 --> 00:04:28.441 মাথা থেকে একটি চুল ছেড়ে কল্পনা কর 00:04:28.441 --> 00:04:30.991 দশ লক্ষ জিনিষ তোমার চুলের 00:04:30.991 --> 00:04:33.991 পাশাপাশি রাখছো। 00:04:33.991 --> 00:04:37.037 চুলের দৈর্ঘ্যে নয়, প্রস্থে 00:04:37.037 --> 00:04:39.175 চুলের প্রস্থ দেখা আরো কঠিন 00:04:39.175 --> 00:04:40.718 এবং প্রায় দশ লক্ষ কার্বন পরমাণু 00:04:40.718 --> 00:04:42.979 এখানে আছে। 00:04:42.979 --> 00:04:48.092 বেশ মজারই তাই না? 00:04:48.092 --> 00:04:49.026 আমরা জানি 00:04:49.026 --> 00:04:51.375 কার্বন এই মৌলিক পরমাণু দিয়ে গঠিত, 00:04:51.375 --> 00:04:53.933 যেকোন পদার্থই এই পরমাণু দিয়ে গঠিত। 00:04:53.933 --> 00:04:55.952 এবং আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে 00:04:55.952 --> 00:04:59.066 এই পরমাণু গুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। 00:04:59.066 --> 00:05:02.556 একটি কার্বন পরমাণু আরো অনেক মৌলিক কণা দিয়ে তৈরি 00:05:02.556 --> 00:05:07.469 একটি সোনার পরমাণুও আরো অনেক মৌলিক কণা দিয়ে তৈরী 00:05:07.469 --> 00:05:10.445 এবং তারা আসলে 00:05:10.445 --> 00:05:12.759 এই মৌলিক কণা দ্বারা পরিচিত। 00:05:12.759 --> 00:05:14.087 এবং তুমি যদি তোমার কাছে থাকা মৌলিক কণার 00:05:14.087 --> 00:05:15.901 সংখ্যা পরির্বতন করো 00:05:15.901 --> 00:05:17.844 তাহলে তুমি সেই মৌলের বৈশিষ্ট্যই, 00:05:17.844 --> 00:05:18.891 কিভাবে এটা বিক্রিয়া করবে, 00:05:18.891 --> 00:05:22.769 বা পুরো মৌলই বদলে ফেলতে পারো। 00:05:22.769 --> 00:05:25.144 এটা আরেকটু ভালোভাবে বোঝার জন্য, 00:05:25.144 --> 00:05:28.010 আমরা মৌলিক কণার ব্যাপারে কথা বলি। 00:05:28.010 --> 00:05:31.825 প্রটোন 00:05:31.825 --> 00:05:35.524 এবং প্রটোন আসলে 00:05:35.524 --> 00:05:38.003 পরমাণুর নিউক্লাসে যেই সংখ্যাক প্রটোন থাকে 00:05:38.003 --> 00:05:40.096 আমি নিউক্লাসের ব্যাপারে একটু পরই কথা বলব 00:05:40.096 --> 00:05:42.969 এবং মৌলের আসল পরিচয় এই প্রটোন। 00:05:42.969 --> 00:05:45.492 মৌলের আসল পরিচয় এই প্রটোন। 00:05:45.492 --> 00:05:47.333 তুমি যদি এখানে পর্যায় সরণি তে দেখ 00:05:47.333 --> 00:05:50.154 মৌলগুলো পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজানো, 00:05:50.154 --> 00:05:51.575 এবং পারমানবিক সংখ্যা হচ্ছে 00:05:51.575 --> 00:05:54.667 মৌলে থাকা সর্বমোট প্রটোনের সংখ্যা। 00:05:54.667 --> 00:05:58.667 তো সঙ্গা অনুসারে হাড্রোজনের একটি প্রটোন আছে। 00:05:58.667 --> 00:06:02.800 হিলিয়াম এর আছে দুটি প্রটোন। কার্বনের ৬টি। 00:06:02.800 --> 00:06:05.333 তুমি কখনও কার্বন পাবে না যার ৭টি প্রটোন রয়েছে। 00:06:05.333 --> 00:06:07.172 যদি পাও তাহলে সেটা হবে নাট্রোজেন, 00:06:07.172 --> 00:06:09.234 সেটা তখন আর কার্বন থাকবে না। 00:06:09.234 --> 00:06:10.589 অক্সিজেনের ৮টি প্রটোন রয়েছে। 00:06:10.589 --> 00:06:12.673 তুমি যদি কোনভাবে সেখানে আরেকটি প্রটোন যুক্ত করো 00:06:12.673 --> 00:06:14.050 তাহলে সেটা আর অক্সিজেন থাকবেনা 00:06:14.050 --> 00:06:18.333 সেটা হয়ে যাবে ফ্লোরিন।তাই বলা যায় প্রটোন মৌলকে ব্যাখা করে 00:06:18.333 --> 00:06:20.067 তাই বলা যাই প্রটন মৌলকে ব্যাখা করে। 00:06:20.067 --> 00:06:22.967 এবং পরমাণবিক সংখ্যা হচ্ছে মোট সংখ্যক প্রটোন 00:06:22.967 --> 00:06:25.447 মনে রাখবে, প্রটোন সংখ্যা 00:06:25.447 --> 00:06:27.674 এই সংখ্যাটি পর্যায় সরণির প্রত্যেকটি মৌলের 00:06:27.674 --> 00:06:30.116 এইখানে উপরে লেখা থাকে 00:06:30.116 --> 00:06:31.529 প্রটোন সংখ্যা হচ্ছে 00:06:31.529 --> 00:06:34.133 পারমাণবিক সংখ্যার সমান 00:06:34.133 --> 00:06:36.852 পারমাণবিক সংখ্যার সমান। 00:06:36.867 --> 00:06:38.861 এই সংখ্যাটি এখানে উপরে লেখা হয় কারণ 00:06:38.861 --> 00:06:42.221 এটি একটি মৌলের বৈশিষ্ট্য ব্যাখা করে 00:06:42.221 --> 00:06:46.133 পরমাণুর বাকি দুটো সদস্য কে 00:06:46.133 --> 00:06:47.702 আমরা বলি 00:06:47.702 --> 00:06:55.123 ইলেকট্রন এবং নিউট্রন। 00:06:55.123 --> 00:06:57.541 এবং পরমাণুর যেই ছবি তুমি তোমার মনে আঁকছো 00:06:57.541 --> 00:07:00.420 আমরা আরো যত সামনে আগাবো, 00:07:00.420 --> 00:07:02.833 সেটা একটু একটু করে জটিল হতে থাকবে 00:07:02.833 --> 00:07:04.821 এবং বুঝতে হয়তো একটু সমস্যা হতে পারে-- 00:07:04.821 --> 00:07:06.548 কিন্তু আমরা যদি এইভাবে চিন্তা করি 00:07:06.548 --> 00:07:08.348 যে প্রটোন এবং নিউট্রন 00:07:08.348 --> 00:07:09.825 পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত। 00:07:09.825 --> 00:07:11.600 তারা পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠন করে। 00:07:11.600 --> 00:07:14.867 যেমন কার্বনের ৬টি প্রটোন রয়েছে 00:07:14.867 --> 00:07:19.067 এক, দুই, তিন, চার,পাঁচ, ছয় 00:07:19.067 --> 00:07:22.385 কার্বন ১২ যেটি কার্বনের আরেক রুপ, 00:07:22.385 --> 00:07:24.200 তারও ৬টি নিউট্রন রয়েছে। 00:07:24.200 --> 00:07:25.748 কার্বনের বিভিন্ন রূপ থাকতে পারে 00:07:25.748 --> 00:07:28.021 যাদের ভিন্ন সংখ্যাক নিউট্রন রয়েছে 00:07:28.021 --> 00:07:30.113 তুমি নিউট্রন এবং ইলেকট্রন বদলালেও 00:07:30.113 --> 00:07:31.733 তুমি সেই একই মৌল পাবে। 00:07:31.733 --> 00:07:33.267 কিন্তু প্রটোন বদলাতে পারবে না। 00:07:33.267 --> 00:07:35.905 প্রটোন বদলালে তুমি নতুন আরেটি মৌল পাবে। 00:07:35.905 --> 00:07:39.200 তো আমি কার্বন ১২ এর নিউক্লিয়াস আঁকি এখানে। 00:07:39.200 --> 00:07:43.200 এক,দুই,তিন,চার,পাঁচ,ছয়। 00:07:43.200 --> 00:07:46.487 এটা হচ্ছে কার্বন ১২ এর নিউক্লিয়াস। 00:07:46.487 --> 00:07:48.333 এবং মাঝে মাঝে এটা এভাবে লেখা থাকতে পারে, 00:07:48.333 --> 00:07:51.132 আবার মাঝে মধ্যে প্রটোন সংখ্যাও 00:07:51.132 --> 00:07:53.831 লিখা থাকতে পারে। 00:07:53.831 --> 00:07:56.133 এবং আমরা কার্বন ১২ লিখেছি 00:07:56.133 --> 00:07:58.677 আর তুমি জানো আমি এইখানে ৬টি নিউট্রন গুনেছি-- 00:07:58.677 --> 00:08:00.379 এবং আমরা কার্বন ১২ লিখেছি, কারণ এটি হচ্ছে সর্বমোট। 00:08:00.379 --> 00:08:03.675 তুমি এটাকে সর্বমোট হিসাবে 00:08:03.675 --> 00:08:04.741 --দেখতে পারো, 00:08:04.741 --> 00:08:06.405 এর বিস্তারিত আমরা ভবিষ্যতে আলোচনা করব 00:08:06.405 --> 00:08:07.770 তো এটা হচ্ছে নিউক্লাসের ভেতরে 00:08:07.770 --> 00:08:11.844 থাকা মোট সংখ্যাক প্রটোন এবং নিউট্রন 00:08:11.844 --> 00:08:15.240 কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা ৬ 00:08:15.240 --> 00:08:16.628 আমরা এইখানে আবার লিখি 00:08:16.628 --> 00:08:18.596 যাতে আমাদের মনে থাকে 00:08:18.596 --> 00:08:21.342 তো কার্বন পরমাণুর কেন্দ্রে এই নিউক্লাস আছে 00:08:21.342 --> 00:08:24.863 এবং কার্বন ১২ এর ৬টি প্রটোন এবং ৬টি নিউট্রন রয়েছে। 00:08:24.863 --> 00:08:27.495 কার্বন এর আরেকটি রুপ হচ্ছে কার্বন ১৪ 00:08:27.495 --> 00:08:30.909 এখানে ৬টি প্রটোন রয়েছে কিন্তু ৮টি নিউট্রন 00:08:30.909 --> 00:08:32.467 তো আমরা দেখলাম নিউট্রনের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে 00:08:32.467 --> 00:08:34.610 কিন্তু এটা হচ্ছে কার্বন ১২। 00:08:34.610 --> 00:08:36.842 এবং কার্বন ১২ যদি নিস্ক্রিয় থাকে-- 00:08:36.842 --> 00:08:40.665 এ শব্দের অর্থ একটু পরেই বলছি-- 00:08:40.665 --> 00:08:43.200 যদি এটা নিস্ক্রিয় থাকে তাহলে ইলেকট্রোন সংখ্যাও হবে ৬। 00:08:43.200 --> 00:08:45.400 আমি এখানে ৬টি ইলেকট্রোন আঁকি। 00:08:45.400 --> 00:08:49.467 এক,দুই,তিন,চার,পাঁচ,ছয় 00:08:49.467 --> 00:08:51.836 ইলেক্ট্রোন এবং নিউটক্লিয়াসের মধ্যে 00:08:51.836 --> 00:08:54.634 সম্পর্ক বোঝার জন্য 00:08:54.634 --> 00:08:56.892 প্রথমে তুমি চিন্তা করতে পারো যে 00:08:56.892 --> 00:08:58.846 ইলেকট্রোন গুলো 00:08:58.846 --> 00:09:00.835 চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে 00:09:00.835 --> 00:09:02.956 নিউক্লাসের আশেপাশে ঘুরছে 00:09:02.956 --> 00:09:04.692 বা তুমি চিন্তা করতে পারো 00:09:04.692 --> 00:09:06.700 তারা নিউক্লিয়াস্কে কেন্দ্র করে ঘুরছে 00:09:06.700 --> 00:09:08.000 কিন্তু এটা পুরোপুরি সঠিক নয়। 00:09:08.000 --> 00:09:10.499 গ্রহ যেমন সূর্যের চারপাশে ঘুরে 00:09:10.499 --> 00:09:11.660 তারা ঠিক সেভাবে ঘুরে না। 00:09:11.660 --> 00:09:13.749 কিন্তু শুরু তে এভাবে চিন্তা করা ভুল নয়। 00:09:13.749 --> 00:09:16.267 আরেক ভাবে আমরা চিন্তা করতে পারি যে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের আসেপাশে লাফ ঝাপ দিচ্ছে 00:09:16.267 --> 00:09:18.691 বা নিউক্লিয়াসের আশেপাশে উত্তেজিত অবস্থায় থাকে। 00:09:18.691 --> 00:09:19.956 এবং যেহুতু আমাদের বাস্তবতার 00:09:19.956 --> 00:09:22.073 থেকে এটা অনেকটা আলাদা 00:09:22.073 --> 00:09:23.544 ইলেকট্রোনকে ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের 00:09:23.544 --> 00:09:26.408 কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে যেতে হবে। 00:09:26.408 --> 00:09:29.190 কিন্তু এই কার্বন ১২ এর যে ছবিটি 00:09:29.190 --> 00:09:32.400 প্রথম আমাদের মাথায় আসে সেটি হচ্ছে এই পরমাণুর কেন্দ্রে, 00:09:32.400 --> 00:09:34.067 আমাদের নিউক্লিয়াসটি আছে। 00:09:34.067 --> 00:09:36.644 এই নিউক্লিয়াসটি ঠিক এখানে আছে। 00:09:36.644 --> 00:09:40.733 এবং এই ইলেকট্রোনগুলো নিউক্লিয়াসের আশেপাশে লাফঝাপ করছে। 00:09:40.733 --> 00:09:43.009 ইলেকট্রন গুলো 00:09:43.009 --> 00:09:45.135 নিউক্লিয়াস থেকে ছিটকে যায় না, 00:09:45.135 --> 00:09:47.200 বা নিউক্লিয়াসের সাথে বাঁধা থাকে, 00:09:47.200 --> 00:09:49.308 তার কারণ হচ্ছে, 00:09:49.308 --> 00:09:54.579 প্রটোনের ধনাত্মক চার্জ রয়েছে, 00:09:54.579 --> 00:09:57.918 এবং ইলেকট্রোনের ঋনাত্মক চার্জ, 00:09:57.918 --> 00:10:02.477 এবং এটা হচ্ছে এই কণাদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। 00:10:02.477 --> 00:10:03.620 তুমি যদি চার্জের 00:10:03.620 --> 00:10:05.467 মৌলিক ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করো, 00:10:05.467 --> 00:10:06.867 এটা একটু জটিল হয়ে যেতে পারে। 00:10:06.867 --> 00:10:08.400 কিন্তু একটা জিনিষ আমরা জানি 00:10:08.400 --> 00:10:10.697 যে তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্ত্রে, 00:10:10.697 --> 00:10:13.146 ভিন্ন চার্জ একে অপরকে আকর্ষণ করে। 00:10:13.146 --> 00:10:14.959 তো আমরা এখন বলতে পারিঃ 00:10:14.959 --> 00:10:16.546 যে ইলেকট্রন এবং প্রটোনের, 00:10:16.546 --> 00:10:18.133 ভিন্ন চার্জ আচ্ছে বলে। 00:10:18.133 --> 00:10:20.129 একে অপরকে আকর্ষণ করে। 00:10:20.129 --> 00:10:21.457 নিউট্রন হচ্ছে নিস্ক্রিয়, 00:10:21.457 --> 00:10:25.088 তারা শুধু নিউক্লিয়াসের ভেতর বসে রয়েছে, 00:10:25.088 --> 00:10:28.579 এবং কিছু মৌলের পরমাণুর বৈশিষ্ট্যর উপর, 00:10:28.579 --> 00:10:33.154 তাদের প্রভাব থাকে। 00:10:33.154 --> 00:10:35.005 কিন্তু যেই কারণে ইলেকট্রোন 00:10:35.005 --> 00:10:36.818 ছিটকে যায় না 00:10:36.818 --> 00:10:38.600 তা হচ্ছে তারা আকর্ষিত। 00:10:38.600 --> 00:10:42.333 নিউক্লিয়াসের প্রতি আকর্ষিত। 00:10:42.333 --> 00:10:45.067 এবং তাদের প্রচন্ড গতি 00:10:45.067 --> 00:10:47.140 --এটা আসলে একটু কঠিন-- 00:10:47.140 --> 00:10:48.446 এবং আমরা আবার 00:10:48.446 --> 00:10:51.546 পদার্থবিজ্ঞানের অচেনা জগতে চলে যাচ্ছি 00:10:51.546 --> 00:10:52.570 আমরা একটু দেখি 00:10:52.570 --> 00:10:54.164 ইলেকট্রন আসলে কি করছে 00:10:54.164 --> 00:10:55.946 এখানে 00:10:55.946 --> 00:10:56.842 ইলেকট্রোন 00:10:56.842 --> 00:10:57.924 এমনভাবে ঘুরছে যে 00:10:57.924 --> 00:11:00.733 তারা নিউক্লিয়াসের মধ্যে পরে যায় না, 00:11:00.733 --> 00:11:02.867 এবং তুমি এ ভাবে চিন্তা করতে পারো। 00:11:02.867 --> 00:11:08.123 আমি কার্বন ১২ এর কথা বলেছি এখানে 00:11:08.123 --> 00:11:09.769 কিভাবে আমরা প্রটোন সংখ্যা দিয়ে ব্যাখা করেছি। 00:11:09.769 --> 00:11:12.403 অক্সিজেন ৮টি প্রটোন দিয়ে গঠিত 00:11:12.403 --> 00:11:16.467 আরেকটা জিনিষ হচ্ছে ইলেকট্রন আরেকটি ইলেকট্রনের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করতে পারে 00:11:16.467 --> 00:11:18.650 অন্য একটি মৌল আরেকটি মৌলের ইলেকট্রনকে নিয়ে যেতে পারে। 00:11:18.650 --> 00:11:21.025 এবং এ জিনিষ গুলো 00:11:21.025 --> 00:11:23.271 রসয়ানকে বুঝতে সাহায্য করে. 00:11:23.271 --> 00:11:25.995 একটি পরমাণু বা মৌলের 00:11:25.995 --> 00:11:27.600 কতগুলো ইলেকট্রন আছে 00:11:27.600 --> 00:11:29.467 এবং সেখানে কিভাবে ইলেকট্রন গুলো সাজানো থাকে 00:11:29.467 --> 00:11:33.867 এবং অন্য মৌলের বা একই মৌলের অন্য পরমাণুতে 00:11:33.867 --> 00:11:36.018 ইলেকট্রন গুলো কিভাবে সাজানো থাকে 00:11:36.018 --> 00:11:41.267 তার উপর ভিত্তি করে আমরা ধারণা করতে পারি 00:11:41.267 --> 00:11:43.333 কিভাবে একটি পরমাণুর মৌল একে অপরের সাথে 00:11:43.333 --> 00:11:46.733 বা অন্য মৌলের পরমাণুর সাথে বিক্রিয়া দিবে 00:11:46.733 --> 00:11:49.695 বা তারা কিভাবে বন্ধন করবে বা করবে না 00:11:49.695 --> 00:11:52.200 অন্য মৌলের পরমাণুর দ্বারা আকর্ষিত হবে নাকি না। 00:11:52.200 --> 00:11:53.420 আমরা এ বিষয় সামনে আরো শিখব 00:11:53.420 --> 00:11:56.300 আমি একটি উদাহরণ দেই যেমন 00:11:56.300 --> 00:12:00.144 কার্বন থেকে একটি ইলেকট্রন 00:12:00.144 --> 00:12:02.723 অন্য একটি পরমাণু নিয়ে যেতে পারে, 00:12:02.733 --> 00:12:05.552 এর কারণ হচ্ছে 00:12:05.552 --> 00:12:10.338 কিছু কিছু মৌলে ইলেকট্রনের 00:12:10.338 --> 00:12:13.723 প্রতি অনেক আকর্ষণ থাকে। 00:12:13.723 --> 00:12:15.218 তো এরকম একটি মৌল যদি 00:12:15.218 --> 00:12:17.160 কার্বন থেকে একটি ইলেকট্রন নিয়ে যায় 00:12:17.160 --> 00:12:19.230 তখন কার্বনের 00:12:19.230 --> 00:12:21.831 প্রটোন সংখ্যা থেকে ইলেকট্রন সংখ্যা কমে যাবে, 00:12:21.831 --> 00:12:25.138 তখন আমাদের ৬টি প্রটোন এবং ৬টি ইলেকট্রন থাকবে। 00:12:25.138 --> 00:12:27.800 এবং আমাদের কাছে ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ বেশী থাকবে। 00:12:27.800 --> 00:12:30.039 আমার কাছে কার্বন ১২ আছে যেটা আমি প্রথমে লিখেছিলাম 00:12:30.039 --> 00:12:34.267 এখানে ৬টি প্রটোন এবং ৬টি ইলেকট্রন আছে, যার কারণে তাদের মোট চার্জ শূন্য। 00:12:34.267 --> 00:12:36.553 যদি একটি ইলেকট্রন চলে যায়, তাহলে আমার কাছে ৫টি ইলেকট্রন থাকবে, 00:12:36.553 --> 00:12:38.933 এবং তখন আমার কাছে ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ বেশী থাকবে 00:12:38.933 --> 00:12:40.785 আমরা এসব বিষয় সামনে 00:12:40.785 --> 00:12:42.867 আরো কথা বলবো 00:12:42.867 --> 00:12:44.302 এবং আমি আশা করি তোমরা 00:12:44.302 --> 00:12:46.133 এ জিনিষগুলো বুঝতে পারছো। 00:12:46.133 --> 00:12:51.800 আমরা পরমাণুর ব্যাপারে জেনেছি 00:12:51.800 --> 00:12:53.118 যেটি মৌল গঠনের প্রধান উপকরণ 00:12:53.118 --> 00:12:54.920 এবং আমরা দেখেছি 00:12:54.920 --> 00:12:56.759 এই পরমাণু আরো কত ছোট 00:12:56.759 --> 00:12:58.667 কণা দিয়ে তৈরি। 00:12:58.667 --> 00:13:00.867 এবং আমরা এ কণাগুলোর অবস্থান পরিবর্তন করে 00:13:00.867 --> 00:13:03.129 একটি মৌলের বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলতে পারি 00:13:03.129 --> 00:13:06.044 বা একটি মৌলের পরমাণু থেকে 00:13:06.044 --> 00:13:09.036 অন্য একটি মৌল তৈরি করতে পারি।