1 00:00:00,137 --> 00:00:03,002 আমরা মানুষরা হাজার বছর ধরে 2 00:00:03,002 --> 00:00:05,867 শুধু আমাদের চারপাশের পরিবেশকে লক্ষ্য করে জেনে এসেছি যে 3 00:00:05,867 --> 00:00:07,207 অনেক ধরণের পদার্থ এখানে আছে 4 00:00:07,207 --> 00:00:10,333 এসব বিভিন্ন পদার্থের, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে 5 00:00:10,333 --> 00:00:11,954 শুধু যে ভিন্ন বৈশিষ্ট্য আছে তাই নয় 6 00:00:11,954 --> 00:00:14,745 একটি পদার্থ হয়তো নির্দিষ্টভাবে আলো প্রতিফলন করে অথবা করে না 7 00:00:14,745 --> 00:00:17,601 বা এর কোন নির্দিষ্ট রঙ বা নির্দিষ্ট তাপমাত্রা থাকতে পারে 8 00:00:17,601 --> 00:00:20,457 এটি কঠিন তরল বা গ্যাস হতে পারে 9 00:00:20,457 --> 00:00:22,108 কিন্তু আমরা এও লক্ষ্য করি 10 00:00:22,108 --> 00:00:24,867 তারা কিভাবে একে অপরের সাথে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিক্রিয়া করে 11 00:00:24,867 --> 00:00:27,663 এখানে কিছু পদার্থের ছবি দেওয়া হলো 12 00:00:27,663 --> 00:00:31,477 এটি কার্বন এবং এটি কয়লা আকারে রয়েছে 13 00:00:31,477 --> 00:00:36,069 এটি হচ্ছে সীসা এবং এটি সোনা 14 00:00:36,069 --> 00:00:38,719 এখানে আমি যেসব ছবি দেখিয়েছি 15 00:00:38,719 --> 00:00:41,369 এই ওয়েবসাইট থেকে নিয়েছি 16 00:00:41,369 --> 00:00:45,453 এ সকল পদার্থ কঠিন অবস্থায় আছে এবং 17 00:00:45,453 --> 00:00:47,395 এগুলো দেখলে মনে তাদের ভেতরে বাতাস রয়েছে 18 00:00:47,395 --> 00:00:49,338 নির্দিষ্ট ধরণের বাতাসের কণা 19 00:00:49,338 --> 00:00:52,210 তুমি কি ধরণের বাতাসের কণা খুঁজচ্ছো তার উপর নির্ভর করে 20 00:00:52,210 --> 00:00:55,079 সেটার কি ধরণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 21 00:00:55,079 --> 00:00:57,948 সেটা হয়তো অক্সিজেন, নাইট্রজেন বা কার্বন বা 22 00:00:57,948 --> 00:00:59,425 কিছু তরল পদার্থও হতে পারে 23 00:00:59,425 --> 00:01:02,082 তুমি যদি এদের তাপমাত্রা অধিক বাড়িয়ে দাও 24 00:01:02,082 --> 00:01:05,018 বা তুমি যদি সোনা বা সীসার তাপমাত্রা অধিক বাড়িয়ে দাও, 25 00:01:05,018 --> 00:01:06,503 তাহলে এগুলো তরলে পরিণত হবে। 26 00:01:06,503 --> 00:01:09,841 বা তুমি যদি কয়লা পোড়াও 27 00:01:09,841 --> 00:01:12,076 তাহলে এটি গ্যাসে পরিণত হবে, 28 00:01:12,076 --> 00:01:13,351 এই গ্যাস বায়ুমণ্ডলে নিষ্কৃতি হবে, 29 00:01:13,351 --> 00:01:14,702 এবং এর গঠন ভেঙে যাবে। 30 00:01:14,702 --> 00:01:17,271 এ সকল জিনিষ আমরা 31 00:01:17,271 --> 00:01:20,585 মানুষেরা হাজার বছর ধরে লক্ষ্য করে আসছি। 32 00:01:20,585 --> 00:01:22,452 এখানে একটি প্রশ্ন জাগে 33 00:01:22,452 --> 00:01:24,226 যেটি ছিল একটি দার্শনিক প্রশ্ন, 34 00:01:24,226 --> 00:01:26,405 কিন্তু এখন আমরা আরেকটু ভালো ভাবে এর উত্তর দিতে পারি, 35 00:01:26,405 --> 00:01:30,898 এবং প্রশ্নটি হচ্ছে তুমি যদি এই কার্বনটি 36 00:01:30,898 --> 00:01:33,518 ছোট ছোট অংশে ভাঙতে শুরু করো 37 00:01:33,518 --> 00:01:35,554 তাহলে কি এই পদার্থের ক্ষুদ্রতম , 38 00:01:35,554 --> 00:01:39,867 ক্ষুদ্রতম অংশটির 39 00:01:39,867 --> 00:01:43,166 কার্বনের বৈশিষ্ট্য থাকবে? 40 00:01:43,166 --> 00:01:45,256 এবং তুমি যদি কোনভাবে সেই ক্ষুদ্রতম অংশটি আরো ভাঙ্গো 41 00:01:45,256 --> 00:01:48,390 তাহলে কি সেটা কার্বনের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলবে? 42 00:01:48,390 --> 00:01:50,354 এর উত্তর হচ্ছে না, হারাবে না। 43 00:01:50,354 --> 00:01:52,200 এবং পারিভাষিক শব্দে 44 00:01:52,200 --> 00:01:56,156 আমরা এই বিশুদ্ধ পদার্থদের 45 00:01:56,156 --> 00:01:59,025 যাদের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 46 00:01:59,025 --> 00:02:01,185 এবং নির্দিষ্ট্য ভাবে বিক্রিয়া দেয়, 47 00:02:01,185 --> 00:02:05,291 আমরা তাদের বলি মৌল। 48 00:02:05,291 --> 00:02:08,729 কার্বন একটি মৌল।সীসা একটি মৌল।সোনা একটি মৌল। 49 00:02:08,729 --> 00:02:10,400 তুমি হয়তা বা মনে করতে পারো, পানি একটি মৌল। 50 00:02:10,400 --> 00:02:14,221 এক সময় মানুষ তাই ভাবতো। 51 00:02:14,221 --> 00:02:17,892 কিন্তু এখন আমরা জানি পানি বিভিন্ন মৌল দ্বারা তৈরি। 52 00:02:17,892 --> 00:02:20,405 পানি অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত। 53 00:02:20,405 --> 00:02:25,014 এবং এসকল মৌল, 54 00:02:25,014 --> 00:02:27,758 পর্যায় সরণিতে সাজানো আছে। 55 00:02:27,758 --> 00:02:29,374 C তে কার্বন বোঝায়। 56 00:02:29,374 --> 00:02:30,400 আমি শুধু সেগুলোর কথা বলছি 57 00:02:30,400 --> 00:02:32,379 যা আমাদের মানব জীবনের সাথে সর্ম্পকিত। 58 00:02:32,379 --> 00:02:35,502 কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এ সকল মৌল সর্ম্পকে ধারণা হবে। 59 00:02:35,502 --> 00:02:39,148 এটা অক্সিজেন, এটা নাইট্রোজেন,এটা সিলিকন। 60 00:02:39,148 --> 00:02:42,867 Au বলতে সোনা বোঝায়। এটা সীসা। 61 00:02:42,867 --> 00:02:51,995 এবং এ সকল মৌলের ক্ষুদ্রতম কণিকার নাম পরমাণু। 62 00:02:51,995 --> 00:02:54,559 তুমি যদি ভাঙতে ভাঙতে 63 00:02:54,559 --> 00:02:57,079 ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম অংশটি নিতে থাকো 64 00:02:57,079 --> 00:02:59,415 অবশেষে তুমি কার্বনের পরমাণু পাবে। 65 00:02:59,415 --> 00:03:00,755 এখানেও একই কাজ করো 66 00:03:00,755 --> 00:03:02,536 এবং শেষ পর্যন্ত সোনার পরমাণু পাবে। 67 00:03:02,536 --> 00:03:03,991 এখানে সেই একই কাজ করলে 68 00:03:03,991 --> 00:03:05,856 তুমি এই ক্ষুদ্র 69 00:03:05,856 --> 00:03:07,758 কণা পাবে, 70 00:03:07,758 --> 00:03:09,185 যেটি হচ্ছে সীসার পরমাণু। 71 00:03:09,185 --> 00:03:11,239 এবং এই পরমাণুকে আর ভাঙা যাবে না 72 00:03:11,239 --> 00:03:13,597 কিন্তু তবুও আমরা এই পরমাণুকে সীসা বলবো 73 00:03:13,597 --> 00:03:17,043 কেননা এটির মধ্যে সীসার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। 74 00:03:17,043 --> 00:03:18,330 এবং তোমাদের একটি ধারণা দেওয়ার জন্য 75 00:03:18,330 --> 00:03:21,193 এটি কল্পনা করা কঠিন 76 00:03:21,193 --> 00:03:24,040 কিন্তু পরমাণু খুবই ছোট। 77 00:03:24,040 --> 00:03:25,901 আমাদের কল্পনার থেকেও অনেক ছোট। 78 00:03:25,901 --> 00:03:27,555 তো ধরা যাক কার্বন। 79 00:03:27,555 --> 00:03:29,379 আমার চুল কার্বন দিয়ে তৈরি 80 00:03:29,379 --> 00:03:31,882 আসলে আমার শরীরের বেশীর ভাগই কার্বন দিয়ে গঠিত 81 00:03:31,882 --> 00:03:35,912 বেশীর ভাগ জীবন্ত বস্তু কার্বন দিয়ে গঠিত 82 00:03:35,912 --> 00:03:40,533 তুমি যদি আমার চুল দেখ,আমার চুল কার্বন দিয়ে তৈরী। 83 00:03:40,533 --> 00:03:42,231 আমার চুলের বেশীর ভাগই কার্বন 84 00:03:42,231 --> 00:03:43,989 তুমি যদি আমার চুল এখানে দেখো 85 00:03:43,989 --> 00:03:45,565 আমার চুল হলুদ নয় 86 00:03:45,565 --> 00:03:46,766 কিন্তু কালোর সাথে ভালো মিশে। 87 00:03:46,766 --> 00:03:47,950 আমার চুল কালো 88 00:03:47,950 --> 00:03:49,713 কিন্তু তুমি সেটা স্ক্রিনে দেখতে পারবে না। 89 00:03:49,713 --> 00:03:51,970 কিন্তু তুমি যদি আমার চুল এখানে নিতে, আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করতাম 90 00:03:51,970 --> 00:03:55,200 আমার চুল কত কার্বন পরমাণু চওড়া? 91 00:03:55,200 --> 00:03:58,467 তুমি যদি আমার চুলের প্রস্থচ্ছেদ নাও,দৈর্ঘ্য নয় 92 00:03:58,467 --> 00:04:00,361 আমার চুলের প্রশস্ত এবং আমি যদি বলি 93 00:04:00,361 --> 00:04:03,255 কত কার্বন পরমাণু চওড়া এটি? 94 00:04:03,255 --> 00:04:07,049 তুমি হয়তো অনুমান করতে পারো, ও হ্যা সালমান তো আমাকে বলেছেই এটা খুব ছোট 95 00:04:07,049 --> 00:04:09,150 হয়তো হাজার খানেক কার্বন পরমাণু আছে এখানে। 96 00:04:09,150 --> 00:04:10,484 বা দশ হাজার বা একশো হাজার 97 00:04:10,484 --> 00:04:11,788 এবং আমি বলব, না! 98 00:04:11,788 --> 00:04:14,249 এখানে দশ লক্ষ কার্বন পরমাণু রয়েছে। 99 00:04:14,249 --> 00:04:17,439 বা তুমি দশ লক্ষ কার্বন পরমাণু 100 00:04:17,439 --> 00:04:20,933 মানুষের একটি চুলের প্রস্থে সাজাতে পারো। 101 00:04:20,933 --> 00:04:22,585 এবং অবশ্যই এটা আমাদের একটি পরিমাপ, 102 00:04:22,585 --> 00:04:24,026 এখানে ঠিক দশ লক্ষ পরমাণু না থাকলেও 103 00:04:24,026 --> 00:04:26,605 তুমি একটি ধারণা পাচ্ছো একটি পরমাণু কত ছোট। 104 00:04:26,605 --> 00:04:28,441 মাথা থেকে একটি চুল ছেড়ে কল্পনা কর 105 00:04:28,441 --> 00:04:30,991 দশ লক্ষ জিনিষ তোমার চুলের 106 00:04:30,991 --> 00:04:33,991 পাশাপাশি রাখছো। 107 00:04:33,991 --> 00:04:37,037 চুলের দৈর্ঘ্যে নয়, প্রস্থে 108 00:04:37,037 --> 00:04:39,175 চুলের প্রস্থ দেখা আরো কঠিন 109 00:04:39,175 --> 00:04:40,718 এবং প্রায় দশ লক্ষ কার্বন পরমাণু 110 00:04:40,718 --> 00:04:42,979 এখানে আছে। 111 00:04:42,979 --> 00:04:48,092 বেশ মজারই তাই না? 112 00:04:48,092 --> 00:04:49,026 আমরা জানি 113 00:04:49,026 --> 00:04:51,375 কার্বন এই মৌলিক পরমাণু দিয়ে গঠিত, 114 00:04:51,375 --> 00:04:53,933 যেকোন পদার্থই এই পরমাণু দিয়ে গঠিত। 115 00:04:53,933 --> 00:04:55,952 এবং আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে 116 00:04:55,952 --> 00:04:59,066 এই পরমাণু গুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। 117 00:04:59,066 --> 00:05:02,556 একটি কার্বন পরমাণু আরো অনেক মৌলিক কণা দিয়ে তৈরি 118 00:05:02,556 --> 00:05:07,469 একটি সোনার পরমাণুও আরো অনেক মৌলিক কণা দিয়ে তৈরী 119 00:05:07,469 --> 00:05:10,445 এবং তারা আসলে 120 00:05:10,445 --> 00:05:12,759 এই মৌলিক কণা দ্বারা পরিচিত। 121 00:05:12,759 --> 00:05:14,087 এবং তুমি যদি তোমার কাছে থাকা মৌলিক কণার 122 00:05:14,087 --> 00:05:15,901 সংখ্যা পরির্বতন করো 123 00:05:15,901 --> 00:05:17,844 তাহলে তুমি সেই মৌলের বৈশিষ্ট্যই, 124 00:05:17,844 --> 00:05:18,891 কিভাবে এটা বিক্রিয়া করবে, 125 00:05:18,891 --> 00:05:22,769 বা পুরো মৌলই বদলে ফেলতে পারো। 126 00:05:22,769 --> 00:05:25,144 এটা আরেকটু ভালোভাবে বোঝার জন্য, 127 00:05:25,144 --> 00:05:28,010 আমরা মৌলিক কণার ব্যাপারে কথা বলি। 128 00:05:28,010 --> 00:05:31,825 প্রটোন 129 00:05:31,825 --> 00:05:35,524 এবং প্রটোন আসলে 130 00:05:35,524 --> 00:05:38,003 পরমাণুর নিউক্লাসে যেই সংখ্যাক প্রটোন থাকে 131 00:05:38,003 --> 00:05:40,096 আমি নিউক্লাসের ব্যাপারে একটু পরই কথা বলব 132 00:05:40,096 --> 00:05:42,969 এবং মৌলের আসল পরিচয় এই প্রটোন। 133 00:05:42,969 --> 00:05:45,492 মৌলের আসল পরিচয় এই প্রটোন। 134 00:05:45,492 --> 00:05:47,333 তুমি যদি এখানে পর্যায় সরণি তে দেখ 135 00:05:47,333 --> 00:05:50,154 মৌলগুলো পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজানো, 136 00:05:50,154 --> 00:05:51,575 এবং পারমানবিক সংখ্যা হচ্ছে 137 00:05:51,575 --> 00:05:54,667 মৌলে থাকা সর্বমোট প্রটোনের সংখ্যা। 138 00:05:54,667 --> 00:05:58,667 তো সঙ্গা অনুসারে হাড্রোজনের একটি প্রটোন আছে। 139 00:05:58,667 --> 00:06:02,800 হিলিয়াম এর আছে দুটি প্রটোন। কার্বনের ৬টি। 140 00:06:02,800 --> 00:06:05,333 তুমি কখনও কার্বন পাবে না যার ৭টি প্রটোন রয়েছে। 141 00:06:05,333 --> 00:06:07,172 যদি পাও তাহলে সেটা হবে নাট্রোজেন, 142 00:06:07,172 --> 00:06:09,234 সেটা তখন আর কার্বন থাকবে না। 143 00:06:09,234 --> 00:06:10,589 অক্সিজেনের ৮টি প্রটোন রয়েছে। 144 00:06:10,589 --> 00:06:12,673 তুমি যদি কোনভাবে সেখানে আরেকটি প্রটোন যুক্ত করো 145 00:06:12,673 --> 00:06:14,050 তাহলে সেটা আর অক্সিজেন থাকবেনা 146 00:06:14,050 --> 00:06:18,333 সেটা হয়ে যাবে ফ্লোরিন।তাই বলা যায় প্রটোন মৌলকে ব্যাখা করে 147 00:06:18,333 --> 00:06:20,067 তাই বলা যাই প্রটন মৌলকে ব্যাখা করে। 148 00:06:20,067 --> 00:06:22,967 এবং পরমাণবিক সংখ্যা হচ্ছে মোট সংখ্যক প্রটোন 149 00:06:22,967 --> 00:06:25,447 মনে রাখবে, প্রটোন সংখ্যা 150 00:06:25,447 --> 00:06:27,674 এই সংখ্যাটি পর্যায় সরণির প্রত্যেকটি মৌলের 151 00:06:27,674 --> 00:06:30,116 এইখানে উপরে লেখা থাকে 152 00:06:30,116 --> 00:06:31,529 প্রটোন সংখ্যা হচ্ছে 153 00:06:31,529 --> 00:06:34,133 পারমাণবিক সংখ্যার সমান 154 00:06:34,133 --> 00:06:36,852 পারমাণবিক সংখ্যার সমান। 155 00:06:36,867 --> 00:06:38,861 এই সংখ্যাটি এখানে উপরে লেখা হয় কারণ 156 00:06:38,861 --> 00:06:42,221 এটি একটি মৌলের বৈশিষ্ট্য ব্যাখা করে 157 00:06:42,221 --> 00:06:46,133 পরমাণুর বাকি দুটো সদস্য কে 158 00:06:46,133 --> 00:06:47,702 আমরা বলি 159 00:06:47,702 --> 00:06:55,123 ইলেকট্রন এবং নিউট্রন। 160 00:06:55,123 --> 00:06:57,541 এবং পরমাণুর যেই ছবি তুমি তোমার মনে আঁকছো 161 00:06:57,541 --> 00:07:00,420 আমরা আরো যত সামনে আগাবো, 162 00:07:00,420 --> 00:07:02,833 সেটা একটু একটু করে জটিল হতে থাকবে 163 00:07:02,833 --> 00:07:04,821 এবং বুঝতে হয়তো একটু সমস্যা হতে পারে-- 164 00:07:04,821 --> 00:07:06,548 কিন্তু আমরা যদি এইভাবে চিন্তা করি 165 00:07:06,548 --> 00:07:08,348 যে প্রটোন এবং নিউট্রন 166 00:07:08,348 --> 00:07:09,825 পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত। 167 00:07:09,825 --> 00:07:11,600 তারা পরমাণুর নিউক্লিয়াস গঠন করে। 168 00:07:11,600 --> 00:07:14,867 যেমন কার্বনের ৬টি প্রটোন রয়েছে 169 00:07:14,867 --> 00:07:19,067 এক, দুই, তিন, চার,পাঁচ, ছয় 170 00:07:19,067 --> 00:07:22,385 কার্বন ১২ যেটি কার্বনের আরেক রুপ, 171 00:07:22,385 --> 00:07:24,200 তারও ৬টি নিউট্রন রয়েছে। 172 00:07:24,200 --> 00:07:25,748 কার্বনের বিভিন্ন রূপ থাকতে পারে 173 00:07:25,748 --> 00:07:28,021 যাদের ভিন্ন সংখ্যাক নিউট্রন রয়েছে 174 00:07:28,021 --> 00:07:30,113 তুমি নিউট্রন এবং ইলেকট্রন বদলালেও 175 00:07:30,113 --> 00:07:31,733 তুমি সেই একই মৌল পাবে। 176 00:07:31,733 --> 00:07:33,267 কিন্তু প্রটোন বদলাতে পারবে না। 177 00:07:33,267 --> 00:07:35,905 প্রটোন বদলালে তুমি নতুন আরেটি মৌল পাবে। 178 00:07:35,905 --> 00:07:39,200 তো আমি কার্বন ১২ এর নিউক্লিয়াস আঁকি এখানে। 179 00:07:39,200 --> 00:07:43,200 এক,দুই,তিন,চার,পাঁচ,ছয়। 180 00:07:43,200 --> 00:07:46,487 এটা হচ্ছে কার্বন ১২ এর নিউক্লিয়াস। 181 00:07:46,487 --> 00:07:48,333 এবং মাঝে মাঝে এটা এভাবে লেখা থাকতে পারে, 182 00:07:48,333 --> 00:07:51,132 আবার মাঝে মধ্যে প্রটোন সংখ্যাও 183 00:07:51,132 --> 00:07:53,831 লিখা থাকতে পারে। 184 00:07:53,831 --> 00:07:56,133 এবং আমরা কার্বন ১২ লিখেছি 185 00:07:56,133 --> 00:07:58,677 আর তুমি জানো আমি এইখানে ৬টি নিউট্রন গুনেছি-- 186 00:07:58,677 --> 00:08:00,379 এবং আমরা কার্বন ১২ লিখেছি, কারণ এটি হচ্ছে সর্বমোট। 187 00:08:00,379 --> 00:08:03,675 তুমি এটাকে সর্বমোট হিসাবে 188 00:08:03,675 --> 00:08:04,741 --দেখতে পারো, 189 00:08:04,741 --> 00:08:06,405 এর বিস্তারিত আমরা ভবিষ্যতে আলোচনা করব 190 00:08:06,405 --> 00:08:07,770 তো এটা হচ্ছে নিউক্লাসের ভেতরে 191 00:08:07,770 --> 00:08:11,844 থাকা মোট সংখ্যাক প্রটোন এবং নিউট্রন 192 00:08:11,844 --> 00:08:15,240 কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা ৬ 193 00:08:15,240 --> 00:08:16,628 আমরা এইখানে আবার লিখি 194 00:08:16,628 --> 00:08:18,596 যাতে আমাদের মনে থাকে 195 00:08:18,596 --> 00:08:21,342 তো কার্বন পরমাণুর কেন্দ্রে এই নিউক্লাস আছে 196 00:08:21,342 --> 00:08:24,863 এবং কার্বন ১২ এর ৬টি প্রটোন এবং ৬টি নিউট্রন রয়েছে। 197 00:08:24,863 --> 00:08:27,495 কার্বন এর আরেকটি রুপ হচ্ছে কার্বন ১৪ 198 00:08:27,495 --> 00:08:30,909 এখানে ৬টি প্রটোন রয়েছে কিন্তু ৮টি নিউট্রন 199 00:08:30,909 --> 00:08:32,467 তো আমরা দেখলাম নিউট্রনের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে 200 00:08:32,467 --> 00:08:34,610 কিন্তু এটা হচ্ছে কার্বন ১২। 201 00:08:34,610 --> 00:08:36,842 এবং কার্বন ১২ যদি নিস্ক্রিয় থাকে-- 202 00:08:36,842 --> 00:08:40,665 এ শব্দের অর্থ একটু পরেই বলছি-- 203 00:08:40,665 --> 00:08:43,200 যদি এটা নিস্ক্রিয় থাকে তাহলে ইলেকট্রোন সংখ্যাও হবে ৬। 204 00:08:43,200 --> 00:08:45,400 আমি এখানে ৬টি ইলেকট্রোন আঁকি। 205 00:08:45,400 --> 00:08:49,467 এক,দুই,তিন,চার,পাঁচ,ছয় 206 00:08:49,467 --> 00:08:51,836 ইলেক্ট্রোন এবং নিউটক্লিয়াসের মধ্যে 207 00:08:51,836 --> 00:08:54,634 সম্পর্ক বোঝার জন্য 208 00:08:54,634 --> 00:08:56,892 প্রথমে তুমি চিন্তা করতে পারো যে 209 00:08:56,892 --> 00:08:58,846 ইলেকট্রোন গুলো 210 00:08:58,846 --> 00:09:00,835 চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে 211 00:09:00,835 --> 00:09:02,956 নিউক্লাসের আশেপাশে ঘুরছে 212 00:09:02,956 --> 00:09:04,692 বা তুমি চিন্তা করতে পারো 213 00:09:04,692 --> 00:09:06,700 তারা নিউক্লিয়াস্কে কেন্দ্র করে ঘুরছে 214 00:09:06,700 --> 00:09:08,000 কিন্তু এটা পুরোপুরি সঠিক নয়। 215 00:09:08,000 --> 00:09:10,499 গ্রহ যেমন সূর্যের চারপাশে ঘুরে 216 00:09:10,499 --> 00:09:11,660 তারা ঠিক সেভাবে ঘুরে না। 217 00:09:11,660 --> 00:09:13,749 কিন্তু শুরু তে এভাবে চিন্তা করা ভুল নয়। 218 00:09:13,749 --> 00:09:16,267 আরেক ভাবে আমরা চিন্তা করতে পারি যে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের আসেপাশে লাফ ঝাপ দিচ্ছে 219 00:09:16,267 --> 00:09:18,691 বা নিউক্লিয়াসের আশেপাশে উত্তেজিত অবস্থায় থাকে। 220 00:09:18,691 --> 00:09:19,956 এবং যেহুতু আমাদের বাস্তবতার 221 00:09:19,956 --> 00:09:22,073 থেকে এটা অনেকটা আলাদা 222 00:09:22,073 --> 00:09:23,544 ইলেকট্রোনকে ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের 223 00:09:23,544 --> 00:09:26,408 কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে যেতে হবে। 224 00:09:26,408 --> 00:09:29,190 কিন্তু এই কার্বন ১২ এর যে ছবিটি 225 00:09:29,190 --> 00:09:32,400 প্রথম আমাদের মাথায় আসে সেটি হচ্ছে এই পরমাণুর কেন্দ্রে, 226 00:09:32,400 --> 00:09:34,067 আমাদের নিউক্লিয়াসটি আছে। 227 00:09:34,067 --> 00:09:36,644 এই নিউক্লিয়াসটি ঠিক এখানে আছে। 228 00:09:36,644 --> 00:09:40,733 এবং এই ইলেকট্রোনগুলো নিউক্লিয়াসের আশেপাশে লাফঝাপ করছে। 229 00:09:40,733 --> 00:09:43,009 ইলেকট্রন গুলো 230 00:09:43,009 --> 00:09:45,135 নিউক্লিয়াস থেকে ছিটকে যায় না, 231 00:09:45,135 --> 00:09:47,200 বা নিউক্লিয়াসের সাথে বাঁধা থাকে, 232 00:09:47,200 --> 00:09:49,308 তার কারণ হচ্ছে, 233 00:09:49,308 --> 00:09:54,579 প্রটোনের ধনাত্মক চার্জ রয়েছে, 234 00:09:54,579 --> 00:09:57,918 এবং ইলেকট্রোনের ঋনাত্মক চার্জ, 235 00:09:57,918 --> 00:10:02,477 এবং এটা হচ্ছে এই কণাদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। 236 00:10:02,477 --> 00:10:03,620 তুমি যদি চার্জের 237 00:10:03,620 --> 00:10:05,467 মৌলিক ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করো, 238 00:10:05,467 --> 00:10:06,867 এটা একটু জটিল হয়ে যেতে পারে। 239 00:10:06,867 --> 00:10:08,400 কিন্তু একটা জিনিষ আমরা জানি 240 00:10:08,400 --> 00:10:10,697 যে তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্ত্রে, 241 00:10:10,697 --> 00:10:13,146 ভিন্ন চার্জ একে অপরকে আকর্ষণ করে। 242 00:10:13,146 --> 00:10:14,959 তো আমরা এখন বলতে পারিঃ 243 00:10:14,959 --> 00:10:16,546 যে ইলেকট্রন এবং প্রটোনের, 244 00:10:16,546 --> 00:10:18,133 ভিন্ন চার্জ আচ্ছে বলে। 245 00:10:18,133 --> 00:10:20,129 একে অপরকে আকর্ষণ করে। 246 00:10:20,129 --> 00:10:21,457 নিউট্রন হচ্ছে নিস্ক্রিয়, 247 00:10:21,457 --> 00:10:25,088 তারা শুধু নিউক্লিয়াসের ভেতর বসে রয়েছে, 248 00:10:25,088 --> 00:10:28,579 এবং কিছু মৌলের পরমাণুর বৈশিষ্ট্যর উপর, 249 00:10:28,579 --> 00:10:33,154 তাদের প্রভাব থাকে। 250 00:10:33,154 --> 00:10:35,005 কিন্তু যেই কারণে ইলেকট্রোন 251 00:10:35,005 --> 00:10:36,818 ছিটকে যায় না 252 00:10:36,818 --> 00:10:38,600 তা হচ্ছে তারা আকর্ষিত। 253 00:10:38,600 --> 00:10:42,333 নিউক্লিয়াসের প্রতি আকর্ষিত। 254 00:10:42,333 --> 00:10:45,067 এবং তাদের প্রচন্ড গতি 255 00:10:45,067 --> 00:10:47,140 --এটা আসলে একটু কঠিন-- 256 00:10:47,140 --> 00:10:48,446 এবং আমরা আবার 257 00:10:48,446 --> 00:10:51,546 পদার্থবিজ্ঞানের অচেনা জগতে চলে যাচ্ছি 258 00:10:51,546 --> 00:10:52,570 আমরা একটু দেখি 259 00:10:52,570 --> 00:10:54,164 ইলেকট্রন আসলে কি করছে 260 00:10:54,164 --> 00:10:55,946 এখানে 261 00:10:55,946 --> 00:10:56,842 ইলেকট্রোন 262 00:10:56,842 --> 00:10:57,924 এমনভাবে ঘুরছে যে 263 00:10:57,924 --> 00:11:00,733 তারা নিউক্লিয়াসের মধ্যে পরে যায় না, 264 00:11:00,733 --> 00:11:02,867 এবং তুমি এ ভাবে চিন্তা করতে পারো। 265 00:11:02,867 --> 00:11:08,123 আমি কার্বন ১২ এর কথা বলেছি এখানে 266 00:11:08,123 --> 00:11:09,769 কিভাবে আমরা প্রটোন সংখ্যা দিয়ে ব্যাখা করেছি। 267 00:11:09,769 --> 00:11:12,403 অক্সিজেন ৮টি প্রটোন দিয়ে গঠিত 268 00:11:12,403 --> 00:11:16,467 আরেকটা জিনিষ হচ্ছে ইলেকট্রন আরেকটি ইলেকট্রনের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করতে পারে 269 00:11:16,467 --> 00:11:18,650 অন্য একটি মৌল আরেকটি মৌলের ইলেকট্রনকে নিয়ে যেতে পারে। 270 00:11:18,650 --> 00:11:21,025 এবং এ জিনিষ গুলো 271 00:11:21,025 --> 00:11:23,271 রসয়ানকে বুঝতে সাহায্য করে. 272 00:11:23,271 --> 00:11:25,995 একটি পরমাণু বা মৌলের 273 00:11:25,995 --> 00:11:27,600 কতগুলো ইলেকট্রন আছে 274 00:11:27,600 --> 00:11:29,467 এবং সেখানে কিভাবে ইলেকট্রন গুলো সাজানো থাকে 275 00:11:29,467 --> 00:11:33,867 এবং অন্য মৌলের বা একই মৌলের অন্য পরমাণুতে 276 00:11:33,867 --> 00:11:36,018 ইলেকট্রন গুলো কিভাবে সাজানো থাকে 277 00:11:36,018 --> 00:11:41,267 তার উপর ভিত্তি করে আমরা ধারণা করতে পারি 278 00:11:41,267 --> 00:11:43,333 কিভাবে একটি পরমাণুর মৌল একে অপরের সাথে 279 00:11:43,333 --> 00:11:46,733 বা অন্য মৌলের পরমাণুর সাথে বিক্রিয়া দিবে 280 00:11:46,733 --> 00:11:49,695 বা তারা কিভাবে বন্ধন করবে বা করবে না 281 00:11:49,695 --> 00:11:52,200 অন্য মৌলের পরমাণুর দ্বারা আকর্ষিত হবে নাকি না। 282 00:11:52,200 --> 00:11:53,420 আমরা এ বিষয় সামনে আরো শিখব 283 00:11:53,420 --> 00:11:56,300 আমি একটি উদাহরণ দেই যেমন 284 00:11:56,300 --> 00:12:00,144 কার্বন থেকে একটি ইলেকট্রন 285 00:12:00,144 --> 00:12:02,723 অন্য একটি পরমাণু নিয়ে যেতে পারে, 286 00:12:02,733 --> 00:12:05,552 এর কারণ হচ্ছে 287 00:12:05,552 --> 00:12:10,338 কিছু কিছু মৌলে ইলেকট্রনের 288 00:12:10,338 --> 00:12:13,723 প্রতি অনেক আকর্ষণ থাকে। 289 00:12:13,723 --> 00:12:15,218 তো এরকম একটি মৌল যদি 290 00:12:15,218 --> 00:12:17,160 কার্বন থেকে একটি ইলেকট্রন নিয়ে যায় 291 00:12:17,160 --> 00:12:19,230 তখন কার্বনের 292 00:12:19,230 --> 00:12:21,831 প্রটোন সংখ্যা থেকে ইলেকট্রন সংখ্যা কমে যাবে, 293 00:12:21,831 --> 00:12:25,138 তখন আমাদের ৬টি প্রটোন এবং ৬টি ইলেকট্রন থাকবে। 294 00:12:25,138 --> 00:12:27,800 এবং আমাদের কাছে ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ বেশী থাকবে। 295 00:12:27,800 --> 00:12:30,039 আমার কাছে কার্বন ১২ আছে যেটা আমি প্রথমে লিখেছিলাম 296 00:12:30,039 --> 00:12:34,267 এখানে ৬টি প্রটোন এবং ৬টি ইলেকট্রন আছে, যার কারণে তাদের মোট চার্জ শূন্য। 297 00:12:34,267 --> 00:12:36,553 যদি একটি ইলেকট্রন চলে যায়, তাহলে আমার কাছে ৫টি ইলেকট্রন থাকবে, 298 00:12:36,553 --> 00:12:38,933 এবং তখন আমার কাছে ধনাত্মক চার্জের পরিমাণ বেশী থাকবে 299 00:12:38,933 --> 00:12:40,785 আমরা এসব বিষয় সামনে 300 00:12:40,785 --> 00:12:42,867 আরো কথা বলবো 301 00:12:42,867 --> 00:12:44,302 এবং আমি আশা করি তোমরা 302 00:12:44,302 --> 00:12:46,133 এ জিনিষগুলো বুঝতে পারছো। 303 00:12:46,133 --> 00:12:51,800 আমরা পরমাণুর ব্যাপারে জেনেছি 304 00:12:51,800 --> 00:12:53,118 যেটি মৌল গঠনের প্রধান উপকরণ 305 00:12:53,118 --> 00:12:54,920 এবং আমরা দেখেছি 306 00:12:54,920 --> 00:12:56,759 এই পরমাণু আরো কত ছোট 307 00:12:56,759 --> 00:12:58,667 কণা দিয়ে তৈরি। 308 00:12:58,667 --> 00:13:00,867 এবং আমরা এ কণাগুলোর অবস্থান পরিবর্তন করে 309 00:13:00,867 --> 00:13:03,129 একটি মৌলের বৈশিষ্ট্য বদলে ফেলতে পারি 310 00:13:03,129 --> 00:13:06,044 বা একটি মৌলের পরমাণু থেকে 311 00:13:06,044 --> 00:13:09,036 অন্য একটি মৌল তৈরি করতে পারি।